তুমি সেই পূর্ণতা


দিন গড়িয়ে যখন সন্ধ্যে নেমে আসে, ঠিক গোধূলি বেলায় দূর আকাশের দিকে তাকালে মনটা কেমন যেনো ভার হয়ে আসে। আনমনা সেই মুহূর্তই মনে হয় যেনো জীবনের শেষ সূর্যাস্ত। হাঁসফাঁস করতে থাকা মন যেনো কোনো কিছুতেই ভালো লাগা কাজ করে না। সূর্য ডুবতে শুরু করা অবধি ডুবে যাওয়া পর্যন্ত কেমন যেন এক বিষন্নতা কাজ করে। সূর্য দূর আকাশে মিলিয়ে গিয়ে অন্ধকারটা প্রকট হতে থাকে। গোটা আকাশটা থাকে অন্ধকারাচ্ছন্ন। তবে অন্ধকারটা যতই প্রকট হোক না কেনো, পরক্ষণে সূর্য ঠিকই তার আপন মহিমায় রশ্মি ছড়িয়ে দিয়ে কেবল হাসে। হাসতেই থাকে। এ যে প্রকৃতিরই নিয়ম!

লিওনেল মেসিও যেনো সেই সূর্য কিরণ, যে কিনা নতুন ভোরে চারিদিকে আলো ছড়িয়ে দিয়ে কেবল হাসে। হাসতেই থাকে। নতুন সকালের সূর্যের কিরণ যেমন এক নিমিষেই সব বিষন্নতা কাটিয়ে দেয়, লিওনেল আন্দ্রেস মেসিও যেন ঠিক সেই সূর্য, সেই রশ্মি, সেই হাসি যার হাসিতে গোটা বিশ্ব যেনো এক লহমায় আনন্দে নেচে ওঠে, গেয়ে ওঠে। জানান দেয়, জীবন নামের এই নদীতে চিরস্থায়ী অন্ধকার বলে কিছু নেই। সূর্য উঠবেই!

আর্জেন্টিনা জার্সি গায়ে লিওনেল মেসি আজ হাসছেন, হাসাচ্ছেন কোটি ভক্তকে, সমস্ত আর্জেন্টাইনবাসীকে। যে মেসি সমস্ত বার্সেলোনা জোরে দাপিয়ে বেড়ান, জীবনের নতুন উৎস খুঁজতে শেখান সেই মেসি যেনো আজ নতুন রূপে আবির্ভূত হলেন। জানান দিলেন, শেষ হওয়ার আগে কোনো কিছুই শেষ নয়। সেই মেসি যিনি কিনা শত সহস্র ফুটবলভক্তের বেঁচে থাকার শেষ আশ্রয়টুকু, যিনি এক লহমায় কোটি ভক্তকে উঠে দাঁড়াতে শেখান, তিনি যেনো নতুন করে আবারও বেঁচে থাকার শেষ মন্ত্রটুকু জুড়ে দিলেন। আমার দেখা এমন অনেক মানুষ আছে, কি বৃদ্ধ, কি যুবক মেসিই যেনো তাদের জীবনকে পেছন থেকে ঠেলছে, উঠে দাঁড় করাচ্ছে। সেই ঝরে যাওয়া ছেলেটিও নতুন উদ্যমে সব শুরু করার শিক্ষাটুকু নিয়েই বড় হচ্ছে, হয়েছে। সামনেও হয়তো হবে।

"I will give up all my personal awards in my career for a trophy with Argentina. I just want to make the people of my country happy" - ২০১৬ সালে আর্জেন্টাইন গণমাধ্যম দারিও ওলে কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেসি এমনটাই দাবী করে বসেন-  একটা জাতীয় দলের ট্রফির জন্য ব্যক্তিগত সকল অর্জনকে নাকি বিসর্জন দিতেও রাজি! শুধু তখনই নয়, দিন যত গেলো, মেসির হাঁসফাঁস যেনো বাড়ছেই। একটি ট্রফি। একটি আন্তর্জাতিক ট্রফি না জেতার আক্ষেপ ব্যক্তিগত সকল অর্জনকে যে মুহূর্তেই ম্লান করে দিতে পারে, লিওনেল মেসি তার চাক্ষুষ প্রমাণ।

লিওনেল আন্দ্রেস মেসি, ব্যক্তিগত ও ক্লাব পর্যায় মিলিয়ে এমন কোনো মেজর ট্রফি নেই যে তিনি জিতেননি। কিন্তু আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে বরাবরই ভাগ্য নেহায়েত অধরাই রয়ে গেলো। ভাগ্য বললাম একারণে, সেই ২০০৭ থেকে ২০১৬। ইতিমধ্যে, মেসি চার ফাইনালে। কিন্তু ভাবা যায়? চার ফাইনালের একটিও মেসি জিততে পারেননি। পারেননি আকাশী সাদা আর্জেন্টাইনবাসীকে আনন্দে ভাসাতে। পারেননি আর্জেন্টিনার দীর্ঘ ট্রফিখরা ঘুচাতে। সমস্ত আর্জেন্টিনাবাসীর আক্ষেপ যেনো একটাই, ফাইনালে এসে ভাগ্য দেবতার দেখা আর মেলে না। সৃষ্টিকর্তা যেনো মুখ তুলে তাকান না। এমন যদি হতো, আর্জেন্টিনা ২০০৭-১৬ এই চারবারের ফাইনালেই উঠতে পারতো না, তাহলে বোধহয় আলবিসেলস্তেরা মেনেই নিতেন। আক্ষেপ হয়তো এতটুকুও থাকতো না। কিন্তু, নব্বই মিনিট দূরে থেকে যখন ট্রফিটি চলে যায় বহু দূরে, তখন আক্ষেপটা যেনো পুরো আকাশের মতই বিশাল জায়গা জুড়ে রয়ে যায়।

২০০৭ সালে তো মেসি সদ্য অভিষেক হওয়া এক ক্ষুদে জাদুকর। সদ্য ডেব্যু হয়ে বিশ্বকাপ খেলে, ছিলেন কোপা আমেরিকার মঞ্চে। সেদিন পারেননি। ব্রাজিলের কাছে হেরে যায় আর্জেন্টিনা। আর্জেন্টাইনরা হয়তো আর দশজনের মতই ভেবেছিলেন, এবার না হয় পরের বার হবে। কিন্তু পরেরবার যেনো আসার নাম নেই। ২০১৪ সালে লিওনেল মেসি সদলবলে উঠে গেলেন বিশ্বকাপের স্বপ্নের ফাইনালে। সবকিছু যেনো অলীকই ধরে নিয়েছিলেন আলবিসেলেস্তেরা! মাত্র নব্বই মিনিট দূরে স্বপ্নের বিশ্বকাপ উঁচিয়ে ধরার। পারেননি। ১১৫ মিনিটের মাথায় এক ঝড়ো হাওয়া যেনো সমস্ত আর্জেন্টাইন ভক্তের হৃদয় ভেঙ্গে দিলো। ইশ! সেদিন যদি মেসি আরেকটু ভেতরের দিকে শটটা নিতেন! কিংবা হিগুয়েন যদি আরেকটু বুঝে শুনে গোলবারে শট চালাতেন! পালাসিও যদি আরেকটু সচেতন থেকে খেলতেন! হয়নি। ভাগ্যদেবতা যেনো আড়ালেই রয়ে গেলেন। 

২০১৫ সালেও আর্জেন্টিনা আবার ফাইনালে। কোপা আমেরিকার। সেদিন হয়তো ধরেই নিয়েছিলেন আর্জেন্টাইনবাসী যে এবার হয়তো হবে। নব্বই মিনিট যায় এক্সট্রা টাইম যায়, গোল আসে না! এবার পেনাল্টি। একমাত্র মেসি ছাড়া কেউই পেনাল্টিকে গোলে কনভার্ট করতে পারেননি। আরও একবার আশাহত। গুলিবিদ্ধ। স্বপ্নভঙ্গ।

২০১৬ সালটা মেসি ভুলে গেলেও আর্জেন্টাইনরা কখনোই ভুলবে না। সেই একই প্রতিপক্ষ। একই টাইব্রেকার। আগেরবার যে মেসি একাই পেনাল্টিকে গোলে কনভার্ট করলেন সেই মেসিই কিনা এবার পেনাল্টি মিস করে বসলেন! সেই অঝোর কান্না! ডাগ-আউটের ছাউনী ধরে খানিকটা দাঁড়িয়ে হয়তো ভাবছিলেন, এই সূর্যাস্ত যেনো জীবনের শেষ সূর্যাস্ত! আর কত? হয়নি তো। টানা চারবার ট্রফি খুব কাছে এসেও অধরাই রয়ে গেলো!

সেই আবেগী মেসি খেলা শেষে তৎক্ষণাৎ সাংবাদিকদের প্রশ্নে বলে উঠলেন- "হয়তো জাতীয় দলের হয়ে খেলা আমার এখানেই শেষ" সমস্ত হারের দায়ভার মেসি একা নিয়ে নিলেন, সাথে যোগ করলেন বিগত চার ফাইনাল হারের আক্ষেপ। তিন ফাইনাল তো টানাই হারলেন! কষ্ট বুঝা যায়? 'ইমিডিয়েট রিয়েকশন' কি জিনিস সেটি অনেকেই হয়তো বুঝিনি সেদিন। এইতো গত কিছুদিন আগেই, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ইউরো থেকে নক আউট হলে ইমিডিয়েটলি তিনি রিয়েক্ট করে বসেন! হয়তো এটাই তার শেষ ইউরো। তারা যে হারবার পাত্র নয়!

কিন্তু! সেদিন মেসি নিজেও যে চাননি জাতীয় দলের হয়ে খেলা ছাড়তে, নিছকই যে ইমিডিয়েট রিয়েক্টের ফল সেটি ওই একই ইন্টারভিউতে বুঝা যায় কিছুক্ষণ পরেই। রিপোর্টার শেষবার জিজ্ঞাসা করলেন, 'এটাই কি আপনার ফাইনাল ডিসিশন?' উত্তরে সদ্য ফাইনাল হারা মেসি বলেছিলেন- "I THINK, I DON'T KNOW.... THAT IS HOW I FEEL AT THE MOMENT" ব্যস! ৩০ বছরের বুড়োর আবেগে যেনো লেগে আছে কষ্টের ছাপ, হতাশার ছাপ। গ্লানি! নিজেও যে এখনো ভুগছেন সিদ্ধান্তহীনতায়! মেসি জানতেন, তার উপর আর্জেন্টাইনবাসীর আক্ষেপ, হতাশা ঠিকই ছিলো। যে ম্যারাডোনা একাই বিশ্বকাপ জিতিয়েছিলেন, মেসি একটা ট্রফিও আমাদের এনে দিতে পারছেন না?

"I THINK, I DON'T KNOW.... THAT IS HOW I FEEL AT THE MOMENT"

মেসি ফিরে এলেন। চার চারটি ফাইনাল হারের ধাক্কা সামলে আবার ফুটবল মঞ্চে ফিরে এলেন। সাদা ক্যানভাসটা যে রঙ তুলি দিয়ে আরও রঙিন করে তুলতে হবে! ২০১৮ বিশ্বকাপে গোল করলেন, গোল করালেন। কিন্তু এবার আগেভাগেই বিদায়। ফ্রান্সকে তিন গোল দেওয়ার বিপরীতে আর্জেন্টিনা হজম করে চার গোল! এই ধাক্কাও যে চার ফাইনাল হারের কাছে কিছুই নয়!

'১৮ এর পর আবারও আকাশী সাদা জার্সি গায়ে মেসি, আবারও সেই ডি মারিয়া, আগুয়েরো। তবে!! তবে এবার যে আর্জেন্টিনা কিছু রত্ন পেয়ে গেছে ইতিমধ্যে! '১৯ এর কোপা আমেরিকায় আবারো ব্রাজিলের কাছে হেরে সেমি ফাইনাল থেকে বিদায় নেয় আর্জেন্টিনা। এবার আর ফাইনাল নয়! তবে এরই মধ্যে গুরু ম্যারাডনা, সাবেলা সবাই ওপাড়ে চলে গেলেন। করোনা মহামারীতে ফুটবল চলবে কি চলবে না ভেবেই বন্ধ থাকে খেলা প্রায় অনেকদিন।

খেলা ফেরে। মাঠে গড়ায় ইউরো ও কোপা আমেরিকার মত শ্রেষ্ঠ আসর। ওইযে কিছু রত্ন পেয়ে গিয়েছিলো আলবিসেলস্তেরা, সেই ক্ষুরধার আরেকটু ধারালো করে ফেললেন লিওনেল স্কালোনী, দ্যা বস। সাথে ছিলেন এক সময়কার লিজেন্ড ওয়াল্টার স্যামুয়েল; ডিফেন্সের কোচ, ছিলেন আয়ালা, ছিলেন পাবলো আইমার। স্কালোনী তো হেড কোচই! ব্যস, নেমে পড়লেন মাঠে, ধারালো করে নিলেন নিজের টিমটাকে। ডিফেন্স গড়ে তুললেন দুর্গ। ঠিক স্যার এলেক্স ফার্গুসনেরই যেনো শিষ্য, তার কথামতই যেনো আগালেন- "Attack wins you games, defense wins you titles"

'২১ এর কোপায় যেন প্রত্যেকেই পণ করে নেমেছিলো, এবার জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ! নিজের দেশের জন্য যুদ্ধ! ২৮ বছরের আক্ষেপ ঘুচানোর যুদ্ধ! সামনে থেকে নেতৃত্ব দিলেন লিওনেল মেসি। পেছন থেকে এমিলিয়ানো মার্টিনেজ, রদ্রিগো ডি পল, আনহেল ডি মারিয়া যেনো বলে কয়েই যুদ্ধে নামলেন। লিওনেল মেসি যে আসলেই একটি আন্তর্জাতিক ট্রফি পাওনা! একুশের কোপায় সর্বোচ্চ গোল, এসিস্ট, চান্স ক্রিয়েট সবই মেসির দখলে। স্কালোনী ডিফেন্সের কাজটা সেরে নিলেন ক্রিস্টিয়ান রোমেরো ও জেনারেল ওটামেন্ডিকে দিয়েই! ঘরোয়া লীগের মন্টিয়েলকে শান দিয়ে গড়ে তুললেন রক্ষণভাগ। পেছনে এমি মার্টিনেজের মত আরেক বীরকে জায়গা দিলেন কোটায় খেলা আরমানীকে সরিয়ে! বাহ! মিড ফিল্ডে আনলেন গুইদো রদ্রিগেজকে। সাথে ডি পল আর সেলসোকে রাখলেন মেসিদের হেল্প করতে। 

ফাইনালে সেই পুরোনো ব্রাজিল, ১৪ বছর পর আবারো মুখোমুখি। এবারও কি স্বপ্ন ভঙ্গ? আরেকটি আক্ষেপের যোগ? যে ডি মারিয়া ২০১৪,১৫,১৬ তিনবারই আর্জেন্টিনা ফাইনালে ওঠা স্বত্তেও খেলতে পারেননি ইঞ্জুরির জন্য, তিনিই কিনা একমাত্র গোল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন, জানান দিলেন- ডি মারিয়া একজনই! বন্ধু মেসিকে কথা দিয়েছিলেন- 'লিও দ্যা কাপ ইজ নিয়ার' ইয়েস!! এমি মার্টিনেজ তো বলেই দিলেন, তিনি বিশ্বকাপ জিততে চান মেসির জন্য! এ যেন এক যোদ্ধাদের গল্প! 

এমি মার্টিনেজ ও মেসি

লিওনেল মেসি সেমিফাইনালে কলম্বিয়ার সাথে এংকেলে চোট পেয়েছিলেন, সেই রক্তঝরা পা নিয়ে খেললেন। তারও আগের ম্যাচে তার ক্লান্ত পা-গুলো যেনো আরও ক্লান্ত! হঠাৎ শুয়ে গেলেন, পা আর চলে না! মেডিক্যাল টিম আসলো তাকে মাঠের বাইরে নিয়ে যেতে। ঝারি দিলেন। হুংকার দিলেন। যুদ্ধের ময়দান থেকে এক পা নড়লেও যে শত্রু পক্ষ ঘায়েল করে ফেলবে! সেই মেসি রক্তঝরা পা নিয়ে খেললেন, ফাইনলে উঠলেন। আজও ইঞ্জুরী নিয়েই দৌড়লেন। যে মন্টিয়েলকে সমস্ত আর্জেন্টাইন ভক্তরা বিশ্বাস করতে পারছিলো না সেই মন্টিয়েলই কিনা ফাইনালে রক্তঝরা পা নিয়ে পুরোটা ম্যাচ খেলে গেলেন। ক্রিস্টিয়ান রোমেরো তো ইঞ্জুরী নিয়ে স্কালোনিকে রিকুয়েস্ট করেই মাঠে নেমে গেলেন। কিসের ইঞ্জুরি, কিসের কি! এরা যেন একেকটা যোদ্ধা। হার না মানা যোদ্ধা।

ব্যস, হয়ে গেলো এক রূপকথার জন্ম! শেষ বাঁশি বাজার সাথে সাথেই মেসি জায়গায় বসে গেলেন। দু হাত দিয়ে মুখ ঢেকে কান্না করলেন। মেসি কাঁদছেন, কাঁদছে পুরো বিশ্ব! আবেগ, আনন্দ, অশ্রু! সতীর্থরা এসে তাকে জড়িয়ে ধরলো! আহ!! স্কালোনি অনেকটা সময় মেসিকে জড়িয়ে কাঁদলেন! ক্লাউদিও তাপিয়া দ্যা প্রেসিডেন্ট- মেসিকে জড়িয়ে কাঁদলেন। দেখলো পুরো বিশ্ব!

২৮ বছরের শিরোপা খরা ঘুচলো সেই মেসির হাত ধরেই। মেসিই এনেদিলেন সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। সাথে ছিলেন হার না মানা কয়েকজন যোদ্ধা যারা জীবন বাজি রেখে একটা ট্রফি জিততেও প্রস্তুত! অবশেষে,  লিওনেল মেসি অধ্যায়ে যোগ হলো সেই অপূর্ণতা, সেই আন্তর্জাতিক ট্রফি! মেসি চুমু আঁকলেন। নাচলেন, গাইলেন। হাসলেন। হাসালেন পুরো বিশ্বকে। জানান দিলেন- শেষ হওয়ার আগেই কোনো কিছু শেষ নয়। মেসি ফিরলেন বীরের বেশে। কৃতজ্ঞতা জানালেন পুরো আর্জেন্টাইনবাসীকে আস্থা রাখার জন্য। ভরসা রাখার জন্য। ম্যারাডোনা অধ্যায়ের পর সেই দীর্ঘ অপেক্ষার সমাপ্তি যে তিনিই টানলেন।

তুমি সেই পূর্ণতা

"লিও- আমরা কৃতজ্ঞ। আমরা চির কৃতজ্ঞ। ভুল সময়ে জন্মাইনি লিও! আমরা ভুল সময়ে জন্মাইনি! আমাদের ক্ষমা করো। আমরা ধন্য, আমরা ধন্য তোমার ওই ক্যানভাসে আকা শিল্পকর্মের সাক্ষী হতে পেরে। আমরা ধন্য আর্জেন্টিনার পুনর্জাগন এনে দেওয়ার জন্যে। সেই ট্রফির জন্য তুমিও যে কত রাত ঘুমাওনি! আজ হয়তো ঘুমাবে, শান্তির ঘুম। শান্তির ঘুম!"

কে জানে, ট্রফি জড়িয়ে মেসিও হয়তো গাইছেন- তুমি সেই পূর্ণতা... (Tu eres esa perfeccion...)

Comments

  1. ajjj ghum hobe ... sorgo theke neme asa kichu shantir ghum.

    ReplyDelete

Post a Comment

Popular Posts